প্রায় দেড় বছর আগে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি তাঁর রাজনীতিবিদ স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন। গণমাধ্যমে দেওয়া সেই বক্তব্যের পর থেকে তাঁরা জনসমক্ষে বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। মাহি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, আর রাকিব সরকারের অবস্থান ছিল অজানা।
এই প্রেক্ষাপটে, সম্প্রতি মাহি ও রাকিবের ঘনিষ্ঠ মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই গুঞ্জন আরও জোরালো হলো যখন মাহি হঠাৎ করেই স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে দুটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেন। ক্যাপশনে ভালোবাসার ইমোজি সহ তিনি লিখলেন, ‘মাশ আল্লাহ।’ অবাক করার বিষয় হলো, মাহির পোস্টের মাত্র এক ঘণ্টা আগে একই ছবি নিজের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন রাকিব সরকারও। স্বামী-স্ত্রীর এই কাছাকাছি সময়ে পারিবারিক ছবি পোস্ট করাকে ঘিরে অনুরাগীদের মনে তৈরি হয়েছে নতুন রহস্য।
রাকিব সরকার ও মাহিয়া মাহি – ফেসবুক থেকে
এক হওয়া নিয়ে ভিন্ন মত
মাহিয়া মাহি ও রাকিব সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে এ বিষয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ নিশ্চিত করছেন যে তাঁরা দুজন পুনরায় একসঙ্গে জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার কারও কারও মতে, এই দম্পতি কখনো পুরোপুরি আলাদা হননি, বরং কিছুদিন ধরে তাঁদের সম্পর্কে কেবল অবনতি চলছিল।
ছবিটি পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা মন্তব্য বাক্সে তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনেকেই ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এবং কেউ কেউ লিখেছেন, “আবার সব আগের মতো হয়ে যাক।”
মাহিয়া মাহি
মাহি-রাকিবের নীরবতা
ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা যে ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন বা ঘনিষ্ঠ মহলে যে গুঞ্জনই থাক না কেন, মাহি বা রাকিব সরকার কেউই তাঁদের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এখন পর্যন্ত জনসমক্ষে কোনো মন্তব্য করেননি। হঠাৎ করে পারিবারিক স্থিরচিত্র পোস্ট করার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে এবং তাঁদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁরা কী বলেন—তা জানতে হলে এই দম্পতির আনুষ্ঠানিক মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বিয়ের পর রাকিব সরকার ও মাহিয়া মাহি
বিচ্ছেদের সময়কার প্রশংসা
উল্লেখ্য, বিচ্ছেদের ঘোষণার সময়ও মাহিয়া মাহি তাঁর প্রাক্তন স্বামী রাকিব সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার কথা জানালেও তিনি বলেছিলেন, “আমরা দুজনই চেষ্টা করেছি। যখন দেখেছি চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না, তখন আসলে চেষ্টাটা ছেড়ে দিয়েছি। একসঙ্গে থেকে তিক্ত হওয়ার চেয়ে বন্ধুত্বটা থাকা ভালো।”
মাহি আরও বলেছিলেন যে রাকিব খুব যত্নবান একজন মানুষ, যিনি তাঁদের সন্তান ফারিশের বিষয়ে অত্যন্ত কেয়ারিং। তাঁর ভাষ্য ছিল, “রাকিব মানুষটা অনেক ভালো, পরোপকারী। কিন্তু আমার প্যাটার্ন এবং ওর প্যাটার্ন আলাদা, দ্যাটস ইট।”
এর আগে প্রথম আলোতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাকিব সরকার জানিয়েছিলেন, একটি খুদে বার্তাকে কেন্দ্র করে তাঁদের সংসারে বিচ্ছেদের সুর বেজে ওঠে। তিনি মাহিকে ফিরিয়ে আনতে বহু চেষ্টা-তদবির করেছিলেন, কিন্তু মাহি কিছু শর্ত দিয়েছিলেন যা একটা পর্যায়ে তাঁর পক্ষে মানা সম্ভব হচ্ছিল না।