নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় প্রেমিকের নানার বাড়ি থেকে এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ প্রেমিক আরাব বিল্লাকে আটক করেছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কবির মাস্টার বাড়ি থেকে ওই তরুণীর (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তরুণী নোয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। অন্যদিকে, প্রেমিক আরাব কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের মো. সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
ঘটনার বিবরণ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি তরুণীর পরিবার তাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে, পরিবারের সদস্যরা আরাবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারে। এ নিয়ে কয়েক দিন আগে তরুণীর মা তাকে বকাঝকা করেন। এর পর থেকে তিনি গত ৩ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই তরুণী প্রেমিকের নানার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বসতঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
পুলিশের বক্তব্য
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক আরাব বিল্লাকে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমিক জানিয়েছে যে, মেয়েটির সঙ্গে তার আগে সম্পর্ক ছিল, কিন্তু গত দুমাস ধরে কোনো সম্পর্ক নেই। ধারণা করা হচ্ছে, সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষোভে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে পারে।
ওসি আরও বলেন, এটি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।