Thursday, October 23, 2025
Homeবাংলাদেশবিএনপির নামে নীরব চাঁদাবাজি: দলটির পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক মাইকিং

বিএনপির নামে নীরব চাঁদাবাজি: দলটির পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক মাইকিং

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ‘নীরব চাঁদাবাজি’ চলছে—এমন অভিযোগ তুলে দলটির পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে। মঙ্গলবার (সময় উল্লেখসহ) সকাল থেকে আলফাডাঙ্গা পৌর শহরসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে এই মাইকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

মাইকিংয়ের মূল বার্তা:

মাইকিংয়ে আলফাডাঙ্গার সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এতে বলা হয়, “আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে আলফাডাঙ্গা বাজারের এবং আশপাশের গ্রামের বিশেষ করে হিন্দু ব্যবসায়ীদের ওপর নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে নতুন নতুন মামলার আসামি বানানোর কথা বলে নীরবে চাঁদাবাজির চেষ্টা চলছে বা হচ্ছে। অনেকেই নিজেদেরকে বিএনপির নেতা হিসেবে দাবি করছে।”

এ ধরনের কোনো ব্যক্তি বিএনপির নাম ব্যবহার করে ভয় দেখালে, জনসাধারণকে তাৎক্ষণিকভাবে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা-কর্মী এবং সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জানানো হয়।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য:

উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কিছু কুচক্রী মহল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম ভাঙিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও নীরব চাঁদাবাজি করছে। এসব কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে উপজেলাজুড়ে এই মাইকিং করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান মিয়া নিশ্চিত করেন যে, সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নির্দেশনায় জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য এই মাইকিং করা হয়েছে। তিনি বলেন, “কয়েক মাস ধরে দলের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করা হয়েছে। এর সঙ্গে উপজেলা বিএনপি কোনোভাবেই জড়িত নয়। তাই উপজেলাবাসীকে মাইকিং করে এ কথা জানানো হয়েছে।”

পুলিশের অবস্থান:

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম এই ঘোষণাকে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বা দলীয় বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বিএনপির পক্ষে এ জাতীয় মাইকিং করা হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। অপরাধ দমন করা পুলিশের দায়িত্ব। জনসাধারণের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

RELATED ARTICLES

Most Popular