Thursday, October 23, 2025
Homeজীবনযাপনদীর্ঘ সময় যৌনতার ৭ টি প্রমাণিত কৌশল

দীর্ঘ সময় যৌনতার ৭ টি প্রমাণিত কৌশল

দীর্ঘ সময় ধরে যৌনতা উপভোগ করার জন্য কিছু কৌশল এবং অভ্যাস আছে যা অনেকেই অনুসরণ করেন। তবে মনে রাখতে হবে, যৌনতা একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে খোলাখুলি আলোচনা করা এবং উভয়ের সন্তুষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

দীর্ঘ সময় ধরে যৌনতা বজায় রাখতে সাহায্যকারী কিছু কৌশল নিচে দেওয়া হলো:

১. মনোযোগ এবং ফোরপ্লে (Foreplay) বৃদ্ধি:

– যৌন মিলনের আগে ফোরপ্লের জন্য বেশি সময় দিন। এর মাধ্যমে উত্তেজনা ধীরে ধীরে বাড়ে এবং দ্রুত বীর্যপাত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

– শুধুমাত্র অনুপ্রবেশ বা পেন্যাট্রেশন-এর দিকে মনোনিবেশ না করে চুম্বন, স্পর্শ, এবং অন্যান্য উদ্দীপনার মাধ্যমে একে অপরের শরীরের প্রতি মনোযোগ দিন।

২. ‘স্টার্ট-স্টপ’ পদ্ধতি:

– যৌন মিলনের সময় যখন মনে হবে আপনি চরম মুহূর্তের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছেন, তখন সম্পূর্ণভাবে থেমে যান।

– উত্তেজনা সামান্য কমে গেলে আবার ধীরে ধীরে শুরু করুন। এভাবে বেশ কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করলে সহবাসের সময়কাল বাড়ানো যেতে পারে।

৩. ‘স্কুইজ’ পদ্ধতি (Squeeze Technique):

– যখন চরম মুহূর্তের কাছাকাছি মনে হবে, তখন লিঙ্গের গোড়ার অংশ বা মাথার (টিপ) ঠিক নিচে আলতো করে চাপ দিন এবং ধরে রাখুন।

– এই চাপ উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে। উত্তেজনা কমলে আবার শুরু করুন। এটি ‘স্টার্ট-স্টপ’ পদ্ধতির মতোই কার্যকর।

৪. শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ:

উত্তেজনা বাড়লে শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়। এই সময় ধীরে ও গভীরভাবে শ্বাস নিন। এটি শরীরকে শান্ত করতে এবং দ্রুত উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।

৫. কেগেল ব্যায়াম (Kegel Exercises):

– কেগেল ব্যায়াম শ্রোণি তলদেশের (Pelvic Floor) পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে, যা বীর্যপাতের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

– প্রস্রাব করার সময় মাঝখানে প্রস্রাব থামানোর চেষ্টা করুন – এই সময় যে পেশীগুলিতে চাপ পড়ে, সেগুলিই হলো কেগেল পেশী। এই পেশীগুলিকে প্রতিদিন কয়েক সেকেন্ডের জন্য সংকুচিত করে ধরে রাখুন এবং শিথিল করুন।

৬. বিভিন্ন পজিশন ব্যবহার:

বিভিন্ন যৌন অবস্থান চেষ্টা করুন। কিছু অবস্থানে পুরুষের উদ্দীপনা কম হয়, যেমন যেখানে নারী উপরে থাকেন বা দু’জন পাশাপাশি শুয়ে মিলন করেন। এইগুলি সময় বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

৭. স্বাস্থ্যকর জীবনধারা:

নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানো (যেমন ধ্যান বা যোগার মাধ্যমে) সামগ্রিকভাবে যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে। ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।

আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে আপনার ইচ্ছা, প্রয়োজন এবং যে কৌশলগুলো আপনারা চেষ্টা করছেন তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। সঙ্গীর সহযোগিতা ও বোঝাপড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গুরুত্বপূর্ণ কথা:

যদি দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করার পরও দ্রুত বীর্যপাত বা সহবাসের সময়কাল নিয়ে আপনার উদ্বেগ থাকে, তবে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা সেক্স থেরাপিস্টের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তারা সঠিক রোগ নির্ণয় এবং উপযুক্ত সমাধান দিতে পারবেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular