প্রশ্ন: আমি একজন ওমানপ্রবাসী ইমাম। আমি যে মসজিদে নামাজ পড়াই সেই মসজিদের কয়েকজন সরকারি ইমাম রয়েছেন, যারা মাঝে মাঝে আসেন। তবে সমস্যা হলো—ওই সব ইমাম জোহর ও আসরের নামাজে সূরা ফাতিহার সঙ্গে কোনো রাকাতেই কোনো সূরা মিলান না। আর আমি সাধারণ ইমাম হওয়ার কারণে তারা নামাজ পড়ালে জামাতও তরক করতে পারি না। আবার আমার নামাজ পড়ানো লাগতে পারে এই সম্ভাবনা থাকায় আগে একাও পড়ে নিতে পারি না। তাই প্রায় দুই বছর ধরে তারা এলে আমি তাদের পেছনে নামাজ পড়ি। এখন জানার বিষয় হলো—আমার জন্য তাদের পেছনে নামাজ পড়া সহিহ কি না? না হলে অতীত ও ভবিষ্যতের নামাজের ক্ষেত্রে আমার করণীয় কী? আর তারা সব নামাজেই এক সালাম দুই দিকে ফিরায়। ডান দিকে ‘আসসালামু আলাইকুম’, বাঁ দিকে ‘ওয়া রহমাতুল্লাহ’। এই ক্ষেত্রে আমার করণীয় কী? উল্লেখ্য যে ওই সব ইমাম ও ওমানের বেশির ভাগ মুসলমান কোনো মাজহাব মানে না। তাদের দাবি হলো—তারা ‘ইবাদি’ তথা শুধু কোরআন ও হাদিস মানে।
— হাফেজ মো. জাহাঙ্গীর, ওমান
উত্তর: শরিয়াহসম্মত অপারগতা দেখা ছাড়া ইবাদি সম্প্রদায়ের অনুসারী ইমামের পেছনে নামাজ পড়া হানাফি মাজহাব মতে মাকরুহে তাহরিমি (তীব্র অপছন্দনীয়)। তবে বিশেষ প্রয়োজনে তাদের ইকতেদা করে নামাজ পড়া যাবে।
কিন্তু জোহর ও আসরের নামাজে যেহেতু তারা সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সূরা মিলায় না, তাই আপনার ওপর থেকে ফরজের জিম্মাদারি আদায় হলেও ওয়াক্তের মধ্যে ওই নামাজগুলো আবার পড়ে নেওয়া ওয়াজিব। তবে বিগত দিনে তাদের ইকতেদা করে জোহর ও আসরের যে নামাজগুলো আদায় করেছেন, তা এখন দোহরানো আবশ্যক নয়।
সালামের ক্ষেত্রে করণীয় হলো, তারা এক সালাম দুই দিকে ফেরালেও আপনি নিজে নিজে উভয় দিকে দুই সালাম ফিরিয়ে নেবেন। (তথ্যসূত্র: বাদায়েউস সানায়ে: ১/৬৬৮, হিন্দিয়া: ১/৯৩, আদ্দুররুল মুখতার: ১/৪৫৬, রাদ্দুল মুহতার: ১/৪৪৬, আহসানুল ফাতাওয়া: ১/২৯০)